সাইফুর রহমান শামীম, কুড়িগ্রাম।।কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে নতুন করে চর ও নদীসংলগ্ন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে ধরলার পানি বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার তিন সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। এতে দেড় শতাধিক চর ও নদীসংলগ্ন গ্রাম এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়েছে অন্তত ২০ হাজার মানুষ। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে চরের যোগাযোগ ব্যবস্থা। ৯টি উপজেলায় প্রায় সাত হাজার হেক্টর জমির আমনক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।
সদর উপজেলার হলোখানা, যাত্রাপুর, পাঁচগাছি, ভোগডাঙা ও ঘোগাদহ ইউনিয়নের ২০টি গ্রামের বন্যার পানি ঢুকেছে। এসব এলাকার ৮০ ভাগ আমনক্ষেত এখন পানির নিচে। ডুবে গেছে গ্রামীণ সড়ক। সদর উপজেলার হলো খানা ইউনিয়নের রাঙামাটি এলাকায় বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে রাঙামাটি, কাগজীপাড়া, হলোখানা, বড়লই, সারডোবসহ ১০টি গ্রামের কয়েক শ হেক্টর জমির আমনক্ষেত তলিয়ে গেছে।
এদিকে, পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নদ-নদীর ভাঙনও তীব্র রূপ নিয়েছে। ধরলা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার ও গঙ্গাধরের ভাঙনে বিভিন্ন এলাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরো দুই শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। রাজারহাট উপজেলার কিং ছিনাই গ্রামের ধরলার ভাঙনে গত এক সপ্তাহে ৩০টি পরিবার গৃহহীন হয়েছে। ধরলা অববাহিকার মেকলি, কিং ছিনাই, জয়কুমর, সারডোব, ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চর বড়াইবাড়ি, জগমনের চর, তিস্তার গতিয়াশাম, খিতাবখা, রামহরি, হাবুরহেলান, ঠুটা পাইকর, হোকডাঙা, চর বজরাসহ ৩০টি পয়েন্টে নদীভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন শুক্রবারও উজানে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আগামী মাসের দুই তারিখ পর্যন্ত পানি বাড়তে পারে। ফলে স্বল্প মেয়াদে একটি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। // কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি, মোবাইল 01718070388
Leave a Reply